ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক :: সিলেটের জৈন্তাপুরে ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৭২ ঘন্টার মধ্যে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিকের তৎপরতায় মাটির নিচ থেকে ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানাযায়, বিগত ২০ফেব্রয়ারী দিবাগত রাত আড়াইটায় ১৪/১৬ জনের একটি মুখোশধারী ডাকাতদল জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষীপ্রসাদ গ্রামের ডাক্তার সিদ্দিক মিয়ার বাড়ীর বারান্দার। কলাপসিবল গেইটের লক ও কাঠের দরজার লক ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেশীয় লোহার তৈরি পাইপগান ও দেশিয় প্রাণনাশক অস্ত্রাদি দ্বারা বাড়ীর সকলকে জিম্মি করে ভয় ভীতি প্রদর্শন পূর্বক নগদ ১ লক্ষ ৮১হাজার ৫শত টাকা এবং ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, ৮টি মোবাইল সেট লুন্ঠন করিয়া নিয়া যায় ডাকাত দল। এ ঘটনায় ডাক্তার সিদ্দিকুর রহমানের নাতী মোঃ নাছির উদ্দিন আহমদ পাবেল বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং ৩৯৫/ ৩৯৭/ ৪১২ পেনাল কোড মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয় মামলা নং-১৪।
পরবর্তীতে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ২৪ঘন্টার মধ্যে নিজপাট ইউপির রুপচেং গ্রামের ডাকাতির ঘটনার ধৃত আসামী আব্দুল হাকিম কিবরিয়ার বসতঘরে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত সদস্য ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া সদর থানার চাঁনপুর (পাগাচং) গ্রামের মোহাম্মদ আলী প্রকাশ জজ মিয়া প্রকাশ আইনুল হকের ছেলে আব্দুল হাকিম কিবরিয়া (৩২), সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার স্বজনশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে ফজলু মিয়া (৩০), জৈন্তাপুর উপজেলার রুপচেং গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে মোঃ রাসেল (১৯), একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে আমিনুল ইসলাম (১৯), একই গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ মোশারফ (১৯) আটক করা হয়। আটককৃতদের নিকট হতে ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত টাকার ২০ হাজার এবং দেশীয় লোহার তৈরী ২রাউন্ড গুলি সহ ২টি ওয়ান শুটার পাইপগান উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা রেকর্ড করে যাহার নং-১৫। এছাড়া ধৃত ডাকাত আব্দুল হাকিম কিবরিয়া ও ডাকাত ফজলু মিয়ার বিরুদ্ধে সিলেটের বিভিন্ন থানায় একাদিক মামলা রয়েছে।
এব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক ডেইলি গোয়াইনঘাটকে জানান, ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত ২টি মোবাইল ফোন ডাকাত আলকাস মিয়ার দেওয়া তথ্যানুযায়ী তার বাড়ির মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যে কোন অপরাধী ও অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে থানা পুলিশ স্বার্বক্ষনি তৎপর রয়েছে। যাহার পরিপ্রেক্ষিত পুলিশ অস্ত্র, মোবাইল ফোন, ডাকাত দলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। সুন্দর, আলোকিত, অপরাধ মুক্ত ডাকাতমুক্ত জৈন্তাপুর গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।
এনিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশাজীবি মানুষের মুখে মুখে প্রশংসায় পঞ্চমুখে ভাসছেন ওসি শ্যামল বনিক।