গোয়াইনঘাট প্রচ্ছদ

করোনা প্রতিরোধে পুলিশ সুপারের নির্দেশে থানা ছেড়ে পুলিশ এখন হাটবাজারসহ মেঠোপথে

ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক :: নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে জরুরী নির্দেশনা প্রদানের পর থেকে। সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ, ও ইন্সপেক্টর তদন্ত হিল্লোল রায়সহ পুলিশের একাধিক টিম এখন হাটবাজারসহ মেঠোপথে লিফলেট নিয়ে জনগনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সর্বসাধারনের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্য লিফলেট হাতে নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি সচেতনতা প্রচারনায় ব্যাপক তৎপর হয়ে উঠেছেন থানা পুলিশের এ কর্মকর্তারা।

সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম’র নির্দেশনায় শুক্রবার (২০মার্চ) সকাল ১১টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নোভেল করোনা ভাইরাস এর সংক্রমন প্রতিরোধের নিমিত্তে। গোয়াইনঘাট উপজেলার সকল পর্যটন কেন্দ্রে, ছোট/ বড় হাটবাজারসমুহে, এলাকার মেঠোপথে, উপজেলা সদরে উপস্থিত জনসাধারণ ও ক্রেতা বিক্রেতা এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য থানা পুলিশের একাধিক টিম লিফলেট বিতরণ করেছেন।

এব্যাপারে সিলেটের সু্যোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ডেইলি গোয়াইনঘাটকে জানান,  করোনা সচেতনতায় পুলিশের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা বা লিফলেটে দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে সিলেট জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজেই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দেশের জনসাধারণের পাশাপাশি যে কোন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের সিলেট পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে করোনা ভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে সকল সম্মানীত নাগরিকদের সচেতনতা এবং সহযোগীতা কামনা করছি।

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ ডেইলি গোয়াইনঘাটকে বলেন, সিলেটের সু্যোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় করোনা সংক্রমন রোধে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যারা করোনার অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন নিত্য পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করছে তাদেরকে ইতিপূর্বেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। যাতে বাজার পরিস্থিতি সব সময় স্বাভাবিক থাকে তার জন্য সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। কোন অসাধু চক্র যেন সিন্ডিকেট তৈরী করে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ আরোও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সেই সাথে পুলিশের পক্ষ থেকে বাজার তদারকি ও জনসচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ইন্সপেক্টর তদন্ত হিল্লোল রায় বলেন, দেশে কোনো ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের সংকট নেই। সব ধরনের পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। যারা পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াবেন, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি বা পড়বেও না। কারণ দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পণ্য বেশি রয়েছে। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *