কোম্পানীগঞ্জ প্রচ্ছদ

কোম্পানীগঞ্জের পাথর কোয়ারীতে থামছে না মৃত্যুর মিছিল,এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২ জন নিহত

কোম্পানীগঞ্জ ( সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে থামছে না মৃত্যুর মিছিল একের পর এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বৃহৎ পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জ এবং শাহ আরেফিন টিলায় পাথরের গর্ত ধ্বসে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে শাহ আরেফিন টিলায় লিটন মিয়া (২২) ও এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির লাল পাথর এলাকায় আব্দুস সালাম (৪৫) নামে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়৷ জানা গেছে সোমবার সকাল ১১টায় শাহ আরেফিন টিলায় স্থানীয় রজব আলী, আইয়ুব আলী ও শাহীন মিয়ার মালিকানাধীন পাথরের গর্তে টিলা ধ্বসে প্রাণ হারান পাথর শ্রমিক লিটন। এ ঘটনায় পাভেল, আবু তাহের ও শাহীন নামের আরও তিন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। লিটন মিয়ার লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে পুলিশ।

এঘটনায় গর্ত মালিকের ম্যানেজার আব্দুছ ছাত্তারকে আটক করেছে থানা পুলিশ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজল কুমার কানু। উল্লেখ্য, এর আগে ১৫ জানুয়ারি ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির লাল পাথর এলাকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার গর্তে বোমা মেশিনের বেল্ট ছিড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান পাথর শ্রমিক আব্দুস সালাম। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্লেখ্য যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য এর নেতৃত্বে শাহ আরেফিন ও ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারীতে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ও কয়েক কোটি টাকার মালামাল ধংস করা হলেও থেমে নেই পাথর খেকোদের তান্ডব। রহস্যজনক কারনে পাথর উত্তোলন বন্ধ হচ্ছেনা।

এদিকে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অপর দিকে ভোলাগঞ্জ ১০ নম্বর এলাকায় আজও ছোট বোমা মেশিন দিয়ে নদীর পাড় ঘেসে অবৈধভাবে কয়েক কোটি টাকার পাথর লোপাট করা হয়েছে। ফলে যেকোন সময় ভোলাগঞ্জ আদর্শ গ্রামসহ মসজিদ, বাজার নদীতে বিলিন হয়ে যেতে পারে। স্তানীয়দের অভিযোগ ভুলাগঞ্জ গ্রামের জনৈক আতাবুর পুলিশের নাম ভাংগিয়ে দৈনিক লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি করছে। গত ১৩ ডিসেম্বর উপজেলা আইনশৃখলা কমিটির সভায় এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও থানা পুলিশ কোন ব্যবস্তা নেয়নি। ফলে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *