কোম্পানীগঞ্জ প্রচ্ছদ

কোম্পানীগঞ্জে শ্রমিকের লাশ গুম: ওসি বলেন ভূয়া খবর, ইউএনওর সহায়তায় লাশের সন্ধান

ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক :: শ্রমিকের মৃত্যুকূপ হিসেবে পরিচিত সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় আবারো এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর প্রশাসনকে না জানিয়ে লাশ গুমের চেষ্টাও করা হয়।

অবশেষে বিজিবির সহায়তায় লাশের সন্ধান পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। হতভাগ্য পাথর শ্রমিক সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মো: আব্দুলের পুত্র তানভির হোসেন(২৭)।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় শাহ আরফিন টিলায় বহুল আলোচিত পাথর খেকো আঞ্জু মিয়ার গর্তে ঝুকিঁপূর্নভাবে পাথর উত্তোলনের সময় উপর থেকে পাথর চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তানভির হোসেন।

পরে তাকে চিকিৎসার জন্য কোম্পানীগঞ্জ সদর হাসপাতালে না নিয়ে পাথর খেকোরা নিয়ে যান ছনবাড়ি গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার মাধব লালের কাছে।

সেখানে নেয়ার আগেই মারা যান তানভির। পরে স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে সেখান থেকে লাশ তার গ্রামের বাড়ি দিরাই উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ প্রতিবেদক গ্রাম্য চিকিৎসক মাধব লালের সাথে যোগাযোগ করলে, প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। পরে বলেন, একজন সামান্য আহত হয়েছিলেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সুস্থ্য হয়ে সে এখন আবার কাজে চলে গেছে।

তার কথায় সন্দেহ হলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সজল কুমার কানুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এসব ভূয়া খবর। কেউ আহতও হয়নি।

পরে বিষয়টি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্যকে জানানো হলে তিনি বিজিবি সদস্যদের সাথে নিয়ে গ্রাম্য চিকিৎসক মাধব লালের কাছে যান।
ইউএনও সুমন আচার্য জানান, মাধব লাল প্রথমে স্বীকার করেনি। পরে গ্রেফতারের ভয় দেখালে সে সব স্বীকার করে।

তার দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, নিহত শ্রমিক তানভিরের বাড়ি দিরাইয়ের মির্জাপুর গ্রামে। পরে লাশ উদ্ধারের জন্য সুনামগঞ্জ পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুল জানান, তিনি সংবাদ পেয়েছেন। লাশ উদ্ধারের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান ও জেলা পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, এমন ঘটনা ঘটে থাকলে অবস্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় উপজেলা ব্যা্পী তোলপাড় চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *