ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক :: সীমান্ত জনপদ জাফলংয়ে ফটোগ্রাফার উজ্জল হত্যার দ্বায় স্বীকার করে। ১৬৪ দ্বারায় স্বেচ্ছায় সিলেটের সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-২ এর বিজ্ঞ বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস এর আদালতে। হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ননা দিয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ জেলার ৩নং বীরগাঁও ইউনিয়নের ধরমপুর গ্রামের সৈয়দ নূর’র পুত্র মোঃ এহসাম (একরাম) ( ১৯), ও একই গ্রামের সুরুক মিয়ার পুত্র মোঃ খসরু মিয়া (১৮)। আটকদ্বয় গোয়াইনঘাট উপজেলার মোহাম্মদপুরস্থ হাসু মিয়ার মালিকানাধীন জুলেখা রেষ্টুরেন্টে বিগত ৪মাস যাবৎ বাবুর্চির সহযোগী হিসেবে কর্মরত ছিলো। সোমবার সিলেটের সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মামলার ইনভেষ্টিগেশন অফিসার ও গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ফটোগ্রাফার উজ্জল হত্যার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ প্রতিবেদককে জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী এবং ফটোগ্রাফার উজ্জল’র মূল হত্যাকারী দুইজনকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করিলে আসামীদ্বয় স্বেচ্চায় উজ্জল হত্যার নির্মম বর্ননা প্রদান করেছে। তাদের দেওয়া জবানবন্ধীর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস দু‘জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সেই সাথে তাদের সহযোগি ট্রাক চালক রায়হান আহমদ ও হেল্পার ওলিউর রহমানকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ ডেইলি গোয়াইনঘাটকে বলেন, অভাবের তাড়নায় সংসার চালানো ফটোগ্রাফার উজ্জল হত্যার ঘটনায় আমি সত্যিই মর্মাহত। কিশোর বয়সে সংসারের যোগান দেওয়া ছোট্র বাবুটির এমন ঘটনায় সিলেটের সু-যোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম’র দিক নির্দেশনায় এবং গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ সার্কেল মো. নজরুল ইসলাম’র তৎপরতায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং পুলিশি সকল কার্যক্রমের চার ঘন্টার মধ্যে চেকপোষ্ট বসিয়ে জাফলংয়ের গুচ্ছগ্রাম নামক স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
উল্লেখ্য রোববার (৬ডিসেম্বর) সকালে পর্যটকদের ছবি তুলতে জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকায় যায় ফটোগ্রাফার উজ্জল। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে পর্যটক বেশে আসা দুই যুবক ছবি উঠাবে বলে জিরো পয়েন্ট এলাকায় গিয়ে উজ্জলের সাথে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ি ছবি উঠানোর কথা বলে উজ্জলকে নিয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে মায়াবী ঝর্ণার দিকে যায়। এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে পর্যটক বেশে থাকা ওই দুই যুবকদ্বয় উজ্জলকে এলাপাতাড়ি ভাবে ছুরিকাঘাত করে তার ক্যামেরা ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।