গোয়াইনঘাট (সিলেট) সংবাদদাতা:: বিজিবি সিলেট সেক্টরের অধীনস্থ ৪৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবির বিশেষ অভিযানে গোয়াইনঘাট সীমান্তে ৮৭১ বস্তা ভারতীয় চিনি এবং ১৫৪৮ কেজি ভারতীয় চা-পাতা আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির বিশেষ অভিযানে গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী জাফলংয়ের রাধানগর ও তামাবিল এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান পিএসসি।
বিজিবির সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির আওতাধীন প্রতাপপুর বিওপি ও তামাবিল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪৩,৫৫০ কেজি অর্থাৎ ৮৭১ বস্তা ভারতীয় চিনি এবং ১৫৪৮ কেজি ভারতীয় চা-পাতা আটক করতে সক্ষম হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৩ শত টাকা।
এবিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি বলেন, ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী গোয়াইনঘাট সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি চোরাচালান প্রতিরোধকল্পে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় চিনি ও চা-পাতা আটক করা হয়েছে। আটককৃত চোরাচালানী মালামাল তামাবিল কাস্টমসে রাখা হয়েছে।জানা গেছে, সপ্তাহিক এবং দৈনিক উৎকোচের বিনিময়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন তথা বিছানাকান্দি, পান্তুমাই, নকশিয়া পুঞ্জি, দমদমা, তামাবিল, প্রতাপপুর, জাফলংয়ের সংগ্রাম বিওপিসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০টিরও বেশি চোরাই পথ ব্যবহার করে প্রতি মাসে শত কোটি টাকারও বেশি ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে চোরাকারবারিরা। যার ফলে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকার শুল্ককর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চোরাই পথে আসা এসব ভারতীয় পণ্যের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট ও প্যান্টের থান কাপড়, ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজা, ব্যাকপাইবার, হুইস্কি, রিকোডেস্ক, বিয়ার, মোটর সাইকেল, বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশ, বিভিন্ন কোম্পানির নামি-দামি মোবাই ফোন,গরু মোটা-তাজাকরণের স্টেরয়েড ট্যাবলেট, হলুদ, জিরা, এলাচি, দারুচিনি, গোলমরিচসহ যাবতীয় মসলা, মুভ, ইসগার্ড, লিভ ৫০২, রিভাইটেল, সেনেগ্রা, ভায়াগ্রা, এডিগ্রা, ফেয়ার এন্ড লাভলিসহ বিভিন্ন কসমেটিকস পন্য। আর এসব চোরাই মালামালের কিছু কিছু মাঝে মধ্যে বিজিবি ও থানা পুলিশ আটক করলেও পরবর্তীতে কাস্টমসে জমা দেয়ার আগে বেশিরভাগই পেছনের দরজা দিয়ে চলে যায় চোরাই সিন্ডিকেটের হাতে।