ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক:: রাত পোহালেই গোয়াইনঘাট উপজলার ৪টি ইউনিয়ন (২নং পশ্চিম জাফলং, ৩নং পূর্ব জাফলং, ও নবগঠিত ১১নং মধ্য জাফলং এবং ১২নং গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন)’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেষ মুহুর্তের প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সকল প্রার্থীরা। এ লক্ষ্য উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে কেন্দ্র গুলোতে ভোটার সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। উপজেলায় ৪টি ইউপি নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে সবধরনের প্রচার-প্রচারণা শেষে এখন জনরায়ের অপেক্ষা মাত্র। নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনার পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে আশাবাদি প্রার্থী ও জনসাধারনের।বুধবার (২নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপজেলা পরিষদ গোয়াইনঘাট নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অন্তত তিনটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ভোটে কারচুপি কিংবা হট্টগোল ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলা রিটার্নিং অফিসারের (জেলা প্রশাসক) কার্যালয় থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোট গ্রহণের সকল উপকরণ বিতরণ শেষে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ভোট কেন্দ্র গুলোতে পাঠানো হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. ইকরামুল হাসান জানিয়েছেন- ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ৬৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫১জন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৭০জন লড়ছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি লড়ছেন আরও তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি আরও জানান, বুধবার গোয়াইনঘাট উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এসব সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এখন সরগরম গোয়াইনঘাট উপজেলার রাজনীতি। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট আয়োজন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যমেরা স্থাপনসহ সবগুলো কেন্দ্রে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় ঘনিয়ে আসায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা ততই যেন বাড়ছে। অপর দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে বেশ উত্তাপ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজনৈতিক মাঠ ছাড়াও তৃণমূল অঙ্গনে।
অপর দিকে,২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম (নৌকা), তার সাথে নির্বাচনের মাঠে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুল মুমিন মুন্সী (চশমা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মামুন পারভেজ (আনারস), জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের মুফতি আমির আহমদ খেজুর গাছ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালিক (ঘোড়া) প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বর্তমান চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান লেবু (ঘোড়া), সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুল হক ভ‚ইয়া বাবুল (আনারস), সাবেক ছাত্রনেতা শামীম আল মামুন মনির (মোটরসাইকেল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহাম্মদ আক্কাস আলী শেখ (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মুতালিব (চশমা) প্রতিকে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক আহমদ (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী লোকমান হোসেন শিকদার (আনারস), বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে মাঠে প্রচারণা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ১২নং গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুভাস চন্দ্র পাল ছানা (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোলাম রব্বানী সুমন (আনারস), স্বতন্ত্র কামাল উদ্দিন (ঘোড়া), স্বতন্ত্র সাবেক চেয়ারম্যান এমএ রহিম (অটোরকিশা), জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের মাওলানা আবুল খায়ের (খেজুর গাছ) প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে থানা পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে। কোথাও কোন অপৃতিকর ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।
