ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক :: করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে গোটা উপজেলায় হোম কোয়ারাইন্টানে থাকা অবস্থায় একটি সুখবর রয়েছে দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোয়াইনঘাট। আর তা হলো গোয়াইনঘাট জুড়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন চলছে ধাম কেটে তা ঘরে তুলার পালা। দূর্যোগেও কৃষকদের ঘরে ঘরে খানিক আনন্দের সংবাদ নিয়ে এসেছে বোরো ফসল।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন হাওর সমুহে রোপায়িত ৭৭৯০ হেক্টর বোরো ফসল এখন ঘরে তোলার সময় এসেছে। বিভিন্ন স্হানে পাকা বোরা ধান কাটা হয়েছে। ইতিপূর্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৩০০ হেক্টর বোরো ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। পুরোপুরি ধান কাটা হলে কৃষক পরিবারগুলো খাদ্য ঘাটতি হ্রাস পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। গোয়াইনঘাটের ক্ষেত সমুহে রোপায়িত অবশিষ্ট ধান কাটা ও শ্রমিক সংকটে ক্ষেতে থাকা ধান বিনষ্টের হাত থেকে রক্ষায় কৃষকের পাশে দাড়িয়েছে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।
এরই আওতায় বুধবার গোয়াইনঘাটের উপজেলা কৃষি বিভাগ আকস্মিক বন্যা,কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় ৭০-৮০% ধান পেকে গেলে তা কাটার জন্য পরামর্শ প্রদান করা এবং প্রচারণা চালানো হয়। কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে কৃষি শ্রমিকের পাশাপাশি কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকের মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে এ বছরের
সববরাহকৃত যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কর্তনের উদ্বোধন করেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব। এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সুলতান আলী, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার,ও সংশ্লিষ্ট ব্লকের এসএএও মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমবেত কৃষকদের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, সরকার দ্রুত বোরো ধান কর্তনের জন্য কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার সরবরাহ করছে। কৃষকদের কল্যানে সরকার সব ধরণের সহযোগীতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকদের ধান কাটার সুবিধার্থে গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৯ টি সচল কম্বাইন্ড হারভেস্টার রয়েছে। এসময় তিনি মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সকল কৃষককে সরকারি নির্দেশিত নিয়ম মেনে সাবধানে কাজ করতে কৃষকদের অনুরোধ করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সুলতান আলী বলেন হাওর এলাকাসহ যেখানে বোরো ধান আছে ৭০-৮০% পেকে গেলে দ্রুত কর্তন করে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ যদি কৃষি শ্রমিক না পান এবং কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে চান তাহলে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি ।