গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:: গোয়াইনঘাটে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের বিছনাকান্দি কুলুমছড়ারপার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।’সিলনিউজ বিডি’ নিউজ ও ভিডিওর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ধর্ষক একই গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে জাকারিয়া (২০) কে আটক করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন, মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত চার বছর আগে দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে রেখে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র সংসার করছেন। পরিবারে আয় রোজগারের জন্য কেউ না থাকায় মহিলা তিনি নিজে পাথরের কাজ করে সংসার চালান। নিত্য দিনের মতো ঘটনার দিন সকালে তিনি কাজের জন্য বাড়ির বাইরে চলে যান। কাজ সেরে বিকালে বাড়িতে আসলে তার দ্বিতীয় ১০ বছরের মেয়ে তাকে জানায়, দুপুরে পাশের বাড়ির আব্দুল আহাদের ছেলে জাকারিয়া এসে তার প্রতিবন্ধী বোনের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি ও খারাপ কাজ করেছে। মা প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে কাঁদতে দেখে কালবিলম্ব না করে তিনি ধর্ষক জাকারিয়ার পিতা আহাদের বাড়িতে যান এবং ঘটনাটি খুলে বলেন। জাকারিয়ার পিতা আব্দুল আহাদ ঘটনাটি শুনে নির্যাতিতার মার মুখ চেপে ধরেন এবং কাউকে না বলার জন্য অনুরোধ করেন। রাতে আহাদ মিয়া স্থানীয় কিছু লোক নিয়ে নির্যাতিতার বাড়িতে যান এবং ঘটনাটি বিশ হাজার টাকার বিনিময় নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন।
নির্যাতিতার মা এ বিষয়ে না মানলে স্থানীয় লোকজন দিয়ে তাকে ভয়-ভীতি ও প্রদর্শন করেন এবং বাড়ি হইতে বাহির না হওয়ার জন্য সতর্কবাণী দেন। এরকম করে পেরিয়ে যায় ঘটনার ৮/১০ দিন। এদিকে ঘটনার ৪/৫পর কৌশলে নির্যাতিতার মা তার প্রতিবন্ধি মেযেকে নিয়ে সিওমেকে ওসিসিতে ভর্তি করেন এবং গোয়াইনঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দাযের করলে ওসি গোয়াইনঘাট পরিমল চন্দ্র দেব দ্রুত মামলা রের্কড করেন (মামলা নং ০৭, তাং ২৭-১০-২১) এবং এসআই মাসুম আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে, এসআই মাসুম ধর্ষক জাকারিয়াকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করেন। জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাসুম আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন মামলা রের্কড হযেছে এবং অভিযুক্ত আসামি আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
