Uncategorized

গোয়াইনঘাটে বন্যার পানি  কমছে ভেসে উঠছে ধ্বংসষজ্ঞের বিভৎস চিত্র অপূরনীয় ক্ষতি

আব্দুল মালিক সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার::  বন্যা দু’মাস থেকে স্থায়ী রয়েছে গোয়াইনঘাটে। ফসলাদি রাস্থাঘাট ঘরবাড়ি করেছ ক্ষতবিক্ষত। ফসল বীজতলা আর রাস্থঘাটের অপূরনীয়  ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তায়ই  ঘুরেদাঁড়ায় বন্যা। ধ্বংশযজ্ঞের ক্ষতচিহ্ন একে দেয়  সর্বত্র।  দূর্গত মানুষের আর্তনাদের হাহাকার বেড়েই চলছে।
গোটা  গোয়াইনঘাট যেন  সমুদ্রে পরিনত হয়েছে।  যে দিকে  চোখ  যায় শুধু  পানি আর পানি। দফায় দফায় বন্যায ৩লক্ষাধীক মানুষ নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছ। করোনা আর বন্যার কারনে বিপর্যস্থ এখানকার জনজীবন। মধ্যবিত্ত থেকে স্বল্প আয়ের মানুষ আর দিনমজুর পরিবারগুলোর  অবস্থা দিন দিন শোচনীয় আকার ধারণ করছে। সরকারের সহায়তা অব্যাহত থকলেও চাহিদার তুলনায় অনেক কম। কর্মহীন অসহায় মানুষের পরিবার পরিজন নিয়ে নিত্যদিনের ব্যায়ভার মেটাতে না পেরে দিশেহারা হয় পড়েছেন ।  ২৫মে থেকে বানের পানিতে ডুবেছিল গোয়াইনঘাট। সেই থেকে বন্যার নাকানিচুবানিতে কাটছে তাদের দিন। ঘরে নেই খাবার, গো মহিষের তীব্র খাদ্য সঙ্কট, তার উপর বিভিন্ন রোগের প্রকূপ, ফসলের মাঠ পানির নীচে, বার বার ডুবছে বসত ভিটা এমন অবস্থায় মানুষ রয়েছেন কিংকর্তব্যবিমুড়।

 

 

 

ঢলের পানি কমলেও জন দূর্ভোগ কমছে না। গ্রামীন ও ইউপি পর্যায়ের রাস্থাঘাট এখনও নিমজ্জিত। ইউএনও এর  দুর্যোগ  ব্যাবস্থাপনা শাখাসূত্রে জানা যায় ৪হজার ৮শত ৫০টি পরিবার এখনও বন্যাকবলিত প্রায় ২৫হাজার জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্থ, ১৫হজার হেক্টর  জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত  রয়েছে ১৪৫ বঃ কিঃ এলাকা। তবে সঠিক ক্ষতির পরিমান পনি না কমা পর্যন্ত বলা যাবে না যাহা অপূরনীয় ক্ষতি বলে সাধারণ মানুষ মনে করছেন। অপর দিকে বারবারের বন্যায় কোন রাস্থারই অস্তিত্ব নেই, আছে শুধু বন্যার হিংস্র তান্ডবের ক্ষতবিক্ষত  চিহ্ন। এ পর্যন্ত ৮৫ কিঃমিঃ রাস্থা ভেঙ্গেছে  বলে জানান তিনি যহা মেরামতে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন। সরকারী হিসাবে যে ক্ষতির  বিবরন পাওয়া যাচ্ছে প্রকৃত ক্ষতি  তার চেয়ে বহুগুণ বেশি  হবে বলে জনসাধারণ ধারনা করছেন। আর কৃষকদের অবস্থা যেন জীবনমৃত। ফসলশূন্য মাঠ, বীজতলা বিনষ্ট, মরছে হালের বলদ ঘরে নেই খাবার, অনিশ্চিত আগামীর ফসল। কৃষকের  বুকে শুধু চেপে আছে দীর্ঘ নিঃশ্বাস। ফসলের মাঠ ভেসে উঠবে এমন লক্ষনও তারা দেখতে পাচ্ছেন না। আসছে ঈদ তাদের জন্য যেন বাড়তি চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত ঈদ গেছে করোনার শঙ্কায় আর এই ঈদে যোগ হয়েছে বন্যার করাল ছোবল। পরিবার পরিজনের চাহিদা  মেঠাতে পারছেন না। মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে শীশুদের থামানোর চেষ্টা করছেন। মানুষের  হৃদয়ে হতাশার গ্লানী আর নিরব আর্তনাদ নিয়েই চলছে জীবন নামের রেল গাড়িটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *