জৈষ্ঠ প্রতিবেদক:: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন বিভাগের সংরক্ষিত সম্পদে ইতিমধ্যে প্রভাব পেলতে শুরু করেছে অবৈধ করাত কল। এমনকি এই বন সম্পদ ধ্বংসচক্রের কাছ থেকে রেহাই পাচ্ছে না স্থানীয় গ্রামীণ বসতভিটার ফলজ, বনজ বৃক্ষ, সড়ক ও উপ-সড়কের ছায়াবৃক্ষ, ব্যক্তি মালিকানাধীন বনায়ন। ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হয়ে নানা বিপর্যয়ের আশংকা করা হচ্ছে। আর বনবিভাগ বলছে, লোকবল সংকটের কারণে তা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় একাধিক
সূত্রে জানা গেছে, এক সময় বন সম্পদে ভরপুর ছিল সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা। বনজ সম্পদ রক্ষায় মহা পরিকল্পনা নিয়ে ১৯৮৭ সনে তৎকালীন সরকার লট নিলাম প্রথা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি এ উপজেলায় করাত কল পারমিট নিষিদ্ধ করে। কিন্তু আইনি জটিলতার সুযোগ নিয়ে উপজেলার আলীর গাও ইউনিয়নের পাঁচ সেউতি বাজার,,বারহাল বাজার ও পুকাশ গ্রামের সন্নিকটে অবৈধ তিনটি করাতকল পরিচালনা করেন একটি প্রভাব শালী মহল। উক্ত
স’মিল গুলোতে নির্বিচারে বৈধ-অবৈধ কাঠ চিরাই অব্যাহত ছিল। পাশাপাশি এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রকাশ্যে কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা সংঙ্গবদ্ধ হয়ে সংরক্ষিত বন এলাকায় সম্পূর্ণ অবৈধ উপায়ে করাত কল স্থাপন করে চোরাই কাঠ চিরাই বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে সমিল পরিচালনার কারণে বন সম্পদের উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বিঘেœ চোরাই কাঠ মজুদ, চিরাই ও বাজারজাতের সুযোগ থাকায় সংঘবদ্ধ বনদস্যুচক্র ও কাঠ চোরের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। সরকারি বনাঞ্চলের কাঠ সম্পদ লুটপাট ও সাইজ করে পাচার হওয়ার ফলে সরকার বনসম্পদ খাত থেকে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। সিলেট বন কতৃপক্ষ মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় স্মার্ট পেট্রোল টীমের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন ।
৪ জানুয়ারি ( মঙ্গলবার) সিলেট বন বিভাগের সারী রেঞ্জের গোয়াইনঘাট বিট কর্মকর্তা উদ্যোগ নিয়ে উক্ত অবৈধ ৩ টি সমিলে স্মার্ট পেট্রোল টীমের অভিযান পরিচালনা করেন। সিলেট বন বিভাগের সারী রেঞ্জের কর্মকর্তা মোঃ সাদ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে স্মার্ট পেট্রোল টীমের অভিযানে অংশগ্রহণ গোয়াইনঘাট
বিট কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম রাজু। রাতারগু বিট কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ ২৫ জন বনরক্ষী কর্মকর্তা কর্মচারী। এসময়ে অবৈধ ৩ টি করাত কল বন্ধ করেন অভিযানকারী দল। সারি রেঞ্জের কর্মকর্তা মোঃ সাদ উদ্দিন বলেন, বনবিভাগের লোকবল সংকটের কারণে শত চেষ্টা করেও বন সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছনা। বৈধ অবৈধভাবে পরিচালিত করাত কল মারাত্মকভাবে বন বিভাগের উপর প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনি বলেন, অবৈধ করাত কল জব্দে বনবিভাগ সবসময় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আলীরগাওঁ ইউনিয়নের স মিল গুলোতে স্মার্ট পেট্রোল টীমের অভিযান পরিচালনা করে ৩ টি করাত কল জব্দ করা হয়েছে। ওই ৩টি করাত কলের মালিকদেরকে নিয়মিত মামলার আওতায় আনা হবে।