নিজস্ব প্রতিনিধি :: গোয়াইনঘাটে আলোচিত টমটম চালক হত্যার রহস্য উদঘাটন করে বিশেষ কাজের স্বীকৃতি পেলেন গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ। ১৮ অক্টোবর রবিবার দুপুর ১২ঘটিকার সময় সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সের শহীদ এসপি শামছুল হক মিলনায়তনে মাসিক কল্যান সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম তাকে বিশেষ কাজের এ স্বীকৃতি দেন।উল্লেখ্য গত ৩০আগস্ট রাত দশটার পর থেকে গোয়াইনঘাট থানাধীন নিয়াগুল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে টমটম চালক শাহিন আহমদ (১৪) টমটম চালাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর ৩১আগস্ট ভোরে গুরুকচি বাজার সংলগ্ন কাটাখাল নামক স্থানে ব্রিজের নীচে তার লাশ পাওয়া যায়। এরকম নৃশংস ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনায় জড়িত আসামী গ্রেপ্তারের জন্য গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ঘটনায় মৃতের বাবা আবুল কাশেম বাদী হয়ে গত ১সেপ্টেম্বর গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িত মূল হোতা বশরকে ২সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন। এরপর তাকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামী বশর টমটম চালক শাহিন খুনের কথা অকপটে স্বীকার করে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে খুনের ঘটনার বর্ণনা দেয়। টমটমের ব্যাটারি চুরি করার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে কিশোর শাহিনকে খুন করা হয়েছে।
পরে ৬ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে হাজির করলে সে খুনের ঘটনায় জড়িত মর্মে ১৬৪ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।গ্রেপ্তারকৃত আবুল বশর (৩২) উপজেলার গুরুকচি পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে।