আইন-বিচার জৈন্তাপুর প্রচ্ছদ

জৈন্তাপুরে পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামালার আসামী সহ ১৩ জুয়াড়ী আটক

গোলাম সারোয়ার বেলাল জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:: সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ১৪ জানুয়ারী দিবাগত রাতে উপজেলা চিকনাগুল এলাকার কুতুব মার্কেটের সুলতান ষ্টোরে অভিযান পরিচালনা করে ১৩জুয়াড়ীকে আটক করে। আটককৃতদের মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের এস.আই আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে চিকনাগুল বাজারের কুতুব মার্কেটের সুলতান ষ্টোরে অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জুয়াড়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটক কৃতরা হল, জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পানিছড়া গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে সেলিম (৩৮) একই গ্রামের মৃত অনু মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন (৬৫), কহাইগড় ২য়খন্ড গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে বাচ্চু মিয়া (২০), মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মকবুল আলী (৭০), মৃত হাছান আলীর ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (৫৮), আব্দুল লতিফের ছেলে নুর উদ্দিন (৩০), মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে সেলিম উদ্দিন (৩৫), মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে শাহিন আহমদ (৪৫), মৃত কুটি মিয়ার ছেলে আব্দুল মালিক (৬০), পানিছড়া কহাইগড় ১মখন্ড গ্রামের হামিদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৬), মৃত আছাব আলীর ছেলে কালা মিয়া (৪২), মৃত লাল মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (৩৫), মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে জহির আলী (৬৩)। জুয়াড়ীদের নিকট হতে জুয়া খেলার উপকরণ মোবাইল ফোন ও নগদ ২হাজার ৪শত ৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের ১৫ জানুয়ারী বুধবার ১৮৬৭ সনের প্রকাশ্যে জুয়া আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা রেকর্ড পূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত জুয়াড়ী সেলিমের বিরুদ্ধে জৈন্তাপুর মডেল থানায় ২০১৩ ইং সনের মাদকদ্রব্য আইনে ১২নং মামলা, ২০১০ সনের পেনাল কোডের ২২নং মামলা, ২০১৮ সনের পেনাল কোডের ৬নং মামলা রয়েছে। বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৪ সনের পেনাল কোডের ১৭নং মামলা রয়েছে। মকবুল আলীর বিরুদ্ধে ২০১০ সনের পেনাল কোডের ২২নং মামলা রয়েছে, মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৪ সনের পেনাল কোডের ৯নং মামলা রয়েছে। নুর উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ২০১৬ সনের পেনাল কোডের ৭নং মামলা রয়েছে।

জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক আটকের বিষয় নিশ্চিত করে ডেইলি গোয়াইনঘাটকে বলেন, জৈন্তাপুরের আাইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে। অটকৃতদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন মামলার আসামী রয়েছে, আটককৃতদের বিরোদ্ধে নিয়মীত মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *