জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃঃ সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে গণপরিবহন চালু হলেও তেমন কোন পরিবহন চলতে দেখা মিলেনি মহাসড়কটিতে। নাম মাত্র কয়েকটি যাত্রীবাহি গাড়ী সিলেট হতে ছেড়ে আসতে দেখা গেলেও জাফলং হতে এখন পর্যন্ত সিলেটের উদ্দেশ্যে কোন যাত্রীবাহি বাস ছেড়ে যায়নি। এই সুযোগে ইমা, লেগুনা, সুজকী, হিউম্যান হুলার গুলো সরকার ঘোষিত নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছা মাফিক পূর্বের ন্যায় ১৪জন বা তার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়।
অপরদিকে যাত্রী সলিম উদ্দিন জানান তিনি সিলেটের ধোপাদিঘির পাড় হতে লেগুনা করে তিনি জৈন্তাপুরে আসেন। তখন থাকে বাধ্য হয়ে গদাগদি করে আসতে হয়েছে তাদেরকে। গাড়ী চালক ও হেল্পার নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে পূর্বের ভাড়ার প্রায় দিগুন ভাড়া আদায় করছে এবং গাদি-গাদি করে যাত্রী উটা নামা করছে। যেখানে সরকারি নির্দেশনা গুলো মানাছেন না। রাস্থায় নজরদারীর জন্য সরকার ঘোষিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন চেক পোষ্ট দেখতে মিলেনি। এই সুবাধে একশ্রেনীর অর্থলোভীরা, লাইসেন্স-ফিটনেস বিহীন লক্কর ঝক্কর ইমা, লেগুনা, সুজকী, হিউম্যান হুলার এবং সিএনজি চালিত ও নাম্বার বিহিন অটোরিক্সা গুলোর মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করছে। এছাড়া গাড়ী চালক ও হেলপাররা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধির ঘোষিত নির্দেশনা। মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাফস, গাড়ীর সিট গুলো রয়েছে অপরিচ্ছন্ন। ইতোমধ্যে সিলেটের পর্যটন খ্যাত জৈন্তাপুর উপজেলায় দ্রুত কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসটি হু হু করেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে।
এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক প্রতিবেদকে জানান, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে আমাদের চেক পোষ্ট রয়েছে, পরিবহন শ্রমিকরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মধ্যে যাত্রী পরিবহন করছে। আমাদের নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে।