জৈন্তাপুর প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সকল সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারী, কারন একটাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের করতে হবে। বিশ্ব জুড়ে যখন করোনা ভাইস মহামারী আকার ধারণ করেছে ঠিক তখনও এক মাত্র সিলেটের সীমান্ত দিয়ে অবাধে প্রবেশ করছে গরু-মহিষ। পাথর এবং বালু কোয়ারী বন্ধ থাকায় মানুষ কর্মহীন এমন সব কথা বলে কোন ত্রুমেই সীমান্তে চোরাচালানের সুযোগ দেওয়া যাবে না। বিশেষ করে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু মহিষ প্রবেশ করছে ভারত থেকে, এতে অনেক রোগাত্রুান্ত পশুও রয়েছে যা থেকে করোনা ভাইরাস’র সংক্রমনের আশংকাও থাকতে পারে।
যেখানে তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে যাত্রী আসার সময় করোনা ভাইরাস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। অথচ গরু-মহিল ও এর সাথে জড়িত ভারত থেকে আসা নাগরিকদের কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উদাসীন সংশ্লিষ্ঠ্য কর্তৃপক্ষ। ৯ মার্চ সোমবার সকাল ১১টায় জৈন্তাপুর উপজেলার আইনশৃংখলা কমিটির সভায় বক্তারা এ সব কথা তুলে ধরলে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পাভীন বলেন যেহেতু গবাদি পশু থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হচ্ছে তাই জৈন্তাপুর উপজেলার সকল সীমান্ত দিয়ে অতীতের ন্যায় অবৈধভাবে গরু মহিষ ও ভারতীয় নাগরিক প্রবেশে কড়া নজরদারী রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা পাভীন’র সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামাল আহমদ, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, দরবস্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, চারিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী তোফায়েল, নিজপাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াহিয়া, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহেদ আহমদ, উপজেলা কৃষি অফিসার ফারুক হোসাইন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ সালাহ উদ্দিন, শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুবল চন্দ্র বর্মন, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরওয়ার বেলাল, বিজিবির নায়েক সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক, দূরুল হুদা, কামাল হোসেন প্রমুখ।