জৈন্তাপুর প্রচ্ছদ

জৈন্তাপুরে চোরাচালানের সেরা রোড ১২৮৬ হতে ১২৯৪ আন্তজার্তিক পিলার এলাকা প্রতিদিন ওপার থেকে আসছে বিভিন্ন পণ্য

রেজওয়ান করিম সাব্বির জৈন্তাপুর প্রতিনিধি:-সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা যখন চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য। প্রতিদিন অন্তত ১০কোটি টাকারভারতীয় চোরাইপণ্য ঢুকছে সীমান্ত পথে। জৈন্তাপুর উপজেলা অন্ততম চোরাচালান রোড নিজপাটইউনিয়নের ১২৮৬ হতে ১২৯৪ আন্তজার্তিক পিলার এলাকা। প্রতিদিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরনিয়োজিত সোর্স মাধ্যমে ২০ হতে ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়। যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে, জৈন্তাপুর উপজেলায় সীমান্ত এলাকায় ৫টি বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে। সীমান্ত জুড়েবানের পানির মত ভারতীয় পণ্য প্রবেশ করলেও দায় সারা ভূমিকায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী গুলো।অভিযোগ রয়েছে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকাজুড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হতে ১৫ কোটিটাকার ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এসকল পণ্য প্রবেশের পথে নির্দিষ্ট হারে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর নির্ধারিত সোর্সম্যানদের কাছে দিতে হয় চাঁদা। এছাড়া কোন কোন দিন মামলারজন্য সিষ্টেম লাইন দিয়ে চলছে চোরাচালান ব্যবসা। ইতোমধ্যে চোরাচালান নিয়ে জৈন্তাপুরবাজারে ২টি গ্রæপের মধ্যে হয়েছে মারামারি। অপরদিকে যে কোন মুহুত্বে চোরাচালানকে কেন্দ্রকরে উপজেলার ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা এবং এবং কমলাবাড়ী এলাকায় খুনের মত ঘটনা ঘটতেপারে এমনটা আশংঙ্কা সচেতন মহলের।

অপরদিকে ৫টি ক্যম্পের মধ্যে চেরাচালানের অন্যতম রোড হিসাবে রয়েছে জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন ১২৮৬নং আন্তজার্তীক পিলার হতে ১২৯৬নং পিলার এলাকা। অন্যান্য এলাকারতুলনায় এই এলাকার সুযোগ সুবিধা ভাল। ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বর্ডরের জিরো পয়েন্টএলাকায় বিনা বাঁধায় ঢুকতে পারে যে গাড়ী সমুহ। নির্ধারিত টাকা সোর্সদের নিকটপরিশোধ করার পর পর কয়েক মিনিটের মধ্যে সীমান্তের ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা, গৌরীশংক, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল অন্যতম। সুযোগ সুবিধা ভাল থাকায় উপজেলার এই রোড গুলোদিয়ে অন্তত ৮ হতে ১০কোটি টাকার ভারতীয় মটর সাইকেল, মোবাইল হ্যান্ড সেট, শাড়ী, মহিষ,গরু, কসমেট্রিক্স, হরলিক্স, ইয়াবা, ফেন্সিড্রিল, বিভিন্ন ব্যান্ডের অফিসার চয়েস মদ,আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, সুপারী,বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার বস্তা মটরশুটি, মটর ঢাল, নারী। সীমান্তে বসাবাসরত সাধারন নাগরিকরা জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োজিত প্রায় ৩০জন সোর্সদের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০ হতে ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১০ হতে ১৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সীমান্ত বাসিন্ধারা আরও জানান কিছু কিছু সময় অনেক চোরাকারবারী নিদিষ্ট সোর্সদের নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করলে ঐ চোরাকারবারীর নিয়ে আসা পণ্য আটক করা হয়। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলা দিতে চোরা কারবারীদের সাথে সিষ্টেম চুক্তি মাধ্যমে কিছু সংখ্যাক গরু মহিষ এবং হাতে গুনা কয়েক বস্তা মটরশুটি আটক করে জনসাধারনের আইওয়াশ করছে বলে জানান।

এলাকাবাসী আরও বলেন, মেজর সিনহা রাশেদ হত্যাকান্ডের পর পর চট্টগ্রাম অঞ্চলে পরিস্থিতি গোলাটেহওয়ায় চোরাকারবারী চক্রের সদস্যরা সিলেটের সিমান্তবর্তী এলাকায় আগমন ঘটে। বিগত দুইমাস হতে জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকা গুলোতে অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলছে চোরাকারবার। হাঠাৎকরে গত দুই মাসে জৈন্তাপুর উঠেছে চোরাকারবারীর স্বর্গ রাজ্য হিসাবে। আঙ্গুল ফলে কলাগাছে পরিনত হয়ে উঠছে হাতে গুনা কয়েকজন চোরাকারবারী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এলাকাবাসী আরও জানান গত ১৭ অক্টোবর রাতে বিজিবি জৈন্তাপুর উপজেলার দর্জিহাটি গ্রামের আহমদ শরিফের বোনের পরিত্যাক্ত বাসা হতে বিপুল পরিমান ভারতীয় কসমেট্রিক্স আটক করে বিজিবি কিন্তু মিডিয়াকে তথ্য দিতে অপারগত প্রকাশ করে। এ বিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করাহলে তিনি জানান, আপনার মোবাইল নাম্বার ক্যাম্পের ফোনে সংরক্ষণ নাই। তাই আটককৃত পণ্যের তথ্য দেওয়া যাবে না বলে ফোন রেখে দেন।

জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহসিন আলী বলেন, যাহা সত্য আপনারা তাই লেখেন সীমান্ত এলাকায় পুলিশের নয়। তার পরও আমরা মাদক বিরুদী অভিযান অভ্যাহত রেখেছি। জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের কোন সোর্সম্যান নাই, চোরাকারবারীদের সাথে কোন সম্পর্কনাই। আমাদেরকে সটিক ইনফরমেশন দিয়ে সহযোগিতা করুন আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনকরব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *