রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি:: উত্তর সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জৈন্তাপুর রাজবাড়ী ফুটবল মাঠ। মাঠটি দীর্ঘ দিন হতে জৈন্তাপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও ইজারাদারগণ বাজারের ময়লা আর্বজনা প্রতিনিয়িত মাঠে নিয়ে ফেলছে। ধীরে ধীরে ঐহিত্যবাহী মাঠটি বাজারের ময়লা আর্বজনার ডাস্টবিন।সরেজমিন ঘুরে দেখাযায় উত্তর সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জৈন্তাপুর রাজবাড়ী ফুটবল মাঠটি জৈন্তাপুর বাজারের সকল ময়লা আর্বজনা সমুহ ইজারাদাগন মাঠে নিয়ে ফেলছেন। যার ফলে মাঠে দূগন্ধ ছড়াচ্ছে। মাঠে অনুশীলন করতে পারছেনা উপজেলা জৈন্তাপুর ফুটবল একাডেমীর ফুটবলার সহ এলাকার ফুটলাররা। মাঠের দূগন্ধের কারনে মাঠের পাশ্ববর্তী মর্নিং বার্ডস কিন্ডার গার্টেন, জৈন্তা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ মাঠের পাশ্ববর্তী বাসিন্ধরা। তৎকালীন দুইজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরিন করিম, নাহিদা পারভিন মহোদয়ের কাছে ফুটবলারগণ বাজারের ময়লা ফেলা বন্ধ রাখা এবং জমে থাকা ময়লা আবর্জনা অপসারনের দাবী জানান। কিন্তু কোন উপকার হয়নি বরং দিন দিন ফুটবল মাঠটি ময়লা আবর্জনার নিরাপদ ডাস্টবিনে রুপান্তরিত হয়েছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় বড় ফুটবল আসর গুলো রাজবাড়ী মাঠে অনুষ্টিত হত। বর্তমান পরিস্থিতির কারনে রাজবাড়ী মাঠে ফুটবল টুনার্মেন্ট বাতিল করেছে উপজেলার ফুটবলার সহ ফুটবল প্রেমীরা। রাজবাড়ী মাঠে উপজেলা স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক খেলাধুলা অনুষ্টিত হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারনে বর্তমানে মাঠের পরিচর্যা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এলাকাবাসীর জানান আমরা বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর পর কোন কাজ না হওয়ায় মাঠকে ময়লার ডাস্টবিন ঘোষনা দিয়ে খেলা ধুলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজবাড়ী মাঠটি ব্যবহারের জন্য জৈন্তা ফুটবল একাডেমীর প্রশিক্ষক আমান উল্লাহ প্রতিবেদককে জানান, আমরা উপজেলা প্রশাসনের নিকট একাধিক বার জানানোর পরও মাঠটিতে বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ হচ্ছে না। সর্বশেষ আমরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল আহমদকে বিষয়টি জানিয়েছি তিনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে মর্মে জানান।
২২নভেম্বর সোমবার বিকল ২টায় জৈন্তাপুর রাজবাড়ী মাঠটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল আহমদ। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী শ্রমিকলীগের সভাপতি ফারুক আহমদ, সমাজসেবী প্রবাসী সিরাজুল ইসলাম। তিনি মাঠের পরিস্থিতি দেখে বাজার পরিচালনা কমিটির প্রতি ক্ষুব্দ হন। মাঠের পরিস্থিতির জন্য বাজার পরিচালনা কমিটিকে দায়ী করেন। ১৬ ডিসেম্বরের আগে মাঠের পূর্বাবস্থায় ফিরে আনার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করবেন। আজকের পর হতে রাজবাড়ী মাঠে যে বা যাহারা ময়লা আবর্জনা ফেলবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
