ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক:: উত্তর-পূর্ব বাংলার জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম “সীমান্তের আহ্বানের” মাতৃভাষা শীর্ষক আলোচনা সভা ও প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০২ফেব্রুয়ারী (রবিবার) দুপুর ২টা থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাগ্রন্ত আল কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সহকারী সম্পাদক ও প্রকাশক আবু তালহা তোফায়েল।
এসময় সম্পাদক মণ্ডলীর সভাপতি আবুল হাসানাতের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক সুলতান মাহমুদ ও নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল্লাহ সালমানের যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন- ভাষার মাসে সীমান্তবাসীর জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম সীমান্তের আহ্বানের মাতৃভাষা শীর্ষক আলোচনা সভা করায় পত্রিকার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকরা ভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য যথাযথ জানতে পারবে। তিনি বলেন যে সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, সকল প্রকার দূর্নীতি দমনে এবং সত্যকে মানুষের সামনে দৃশ্যায়ন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে। কোনো গুষ্ঠির হয়ে বা কোনো ব্যক্তির হয়ে কাজ করে হলুদ সাংবাদিকতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। তাতেই পত্রিকা বা সাংবাদিকতায় সফলতা আসবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সীমান্তের আহ্বানের প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা আমিনুর রশিদ গোয়াইনঘাটি বলেন- যে জাতি তার ভাষায় পারদর্শী সে জাতির উন্নতি নিশ্চয়। আল্লাহর রাসুল সাঃ কে আল্লাহ সাহিত্যিকতার পণ্ডিত বানিয়ে জাতির সামনে প্রকাশ করেছেন। আরবি ভাষা ছিলো নবী সাঃ এর মাতৃভাষা, আর সেই ভাষার পণ্ডিত তিনি ছিলেন, আর বাংলা ভাষা হচ্ছে আমরা বাঙ্গালী জাতির জাতীয় ভাষা। তাই আমরা আমাদের ভাষার উপর পারদর্শী হতে হবে। তিনি বলেন আমরা বিদ্যালয়গুলোতে মাতৃভাষার উপর সময় শ্রম দিয়ে আগামী প্রজন্মদেরকে ভাষাবিদ, সাহিত্যিক হিশেবে গড়ে তোলতে হবে। জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে ভাষাবিদ হতে হবে।
আমাদের বাংলা অনার্স যেখানে পড়ানো হয়, সেখানে অনুষ্ঠানের প্রধান ফটকে ব্যাকরণগত ভুল থাকে, এটা মেনে নিতে খুবই কষ্ট হয়। তাই স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ ভার্সিটিতে বাংলার উপর যথেষ্ট সময় দিতে হবে, এটা আমাদের জন্য কর্তব্য।
তিনি আরো বলেন যে, সীমান্তের আহ্বানের সংশ্লিষ্ট সবাই সত্যের উপর অঠল থেকে দূর্নীতি,খুন,ঘুম,ধর্ষণ,ছিনতাইসহ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হতে হবে। এমন কোনো প্রকার লেখা যেনো প্রকাশ না হয়, যাতে তথ্য প্রযুক্তির আইনে পড়তে হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ বলেন- সীমান্তবর্তী এলাকার মাটি ও মানুষের আস্থার প্রতীক, তাদের সুখ, দুঃখ-বেদনা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সীমান্তের আহ্বান। তারা প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই হলুদ সাংবাদিকতাকে বর্জন করে তাদের নীতির উপর অঠল আছে। আমি চাই পূর্বের আড়াই বছর যেভাবে তাদের সংবিধানোযায়ী চলে আসছে, সব দূর্নীতির মুখোশ উন্মোচন করে এভাবে তাদের গৌরবকে অঠল রেখে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাক। তাতেই আরো সফলতার মুখ দেখবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোয়াইনঘাট উন্নয়ন সংগ্রামের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা বিলাল উদ্দিন, গোয়াইনঘাট মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইকবাল মিয়ার প্রতিনিধি আশরাফুল আলম, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল মালিক, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মিনহাজ উদ্দিন, গোয়াইনঘাট প্রবাসী ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম নুমান, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শামছুদ্দিন, সীমান্তের আহ্বানের পৃষ্ঠপোষক আলীম আহমেদ সজিব, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, গোয়াইনঘাট সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী হোসেন, মাওলানা আমিরুল ইসলাম, সীমান্তের আহ্বানের উপদেষ্টা মাওলানা রফিক আহমেদ, উপদেষ্টা হাফিজ জাকির হুসাইন, মাওলানা এখলাছুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠপোষক মুহসিন আহমেদ, মাওলানা মাসুক আহমদ, সাংবাদিক ফয়সাল কাদির, হাফিজ ওলিউর রহমান, আব্দুল আহাদ, কাওছার আনিস, নিজাম উদ্দিনসহ সীমান্তের আহ্বানের প্রতিনিধি, পাঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দ।