ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক ::: বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগে কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য বড়ই নির্লজ্জ এবং বেহায়া। ওদের আত্ম সম্মানবোধ বলতে কিছুই নেই। নেই কোন রাগ কিংবা হিংসা ক্রোধ। কারণ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ওদের উপর অপমান আর দ্বীক্ষারের বোঝা বহন করতে স্ব-চোখে দেখেছি। কর্মজীবনে প্রতিটি মুহুর্তে কোন না কোন কারণে পুলিশের সাথে কাজ করতে হয়েছে এবং হচ্ছে। ওদের হৃদয়ে ভালোবাসা বলতে কোন শব্দ আছে বলে ইতিপূর্বে শুনিনি। সময়ে অসময়ে ওদের উপর দেশ তথা বিদেশ থেকে মানুষ থুথু নিক্ষেপ করেছিল। যাক সর্বপরি পুলিশ কোন দিন জনগণের বন্ধুও ছিলো না, পাশেও ছিলো না। সর্বকালেই পুলিশ জনগণের ক্ষতি সাধনের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।
যারা একসময় পুলিশ বিভাগ কিংবা পুলিশ সদস্যকে কটাক্ষ করতো আজ সেই পুলিশ তাদের চোখে আঙুল দিয়ে বুজিয়ে দিচ্ছে আমরা প্রতিজ্ঞা করেছি মরার জন্য ও দেশ তথা জাতিকে রক্ষার জন্য। আমরাই দেশের জন্য নিবেদিত এক একটি প্রাণ।
সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগ আজ (কোভিট-১৯) করোনা ভাইরাস সংক্রমনকে প্রতিরোধে ঐ দেশেরই মানুষকে সচেতন করতে দিন এবং রাতে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে পুলিশের ভুমিকা শ্রেষ্ঠ মানব সেবার নজির হয়ে থাকছেন। প্রতিদিন স্ব-চোক্ষে দেখছি জীবনের মায়া ত্যাগ করে পুলিশ সদস্যরা মানুষকে সচেতনে লিপ্ত রয়েছে । কে জানে এভাবে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি কিংবা ঘরে থাকার কথা বলতে গিয়ে নিজরাই হয়ত সংক্রমিত হচ্ছে।
অপর দিকে নিজের বা পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে কোন পুলিশ সদস্যই নিজের কর্তব্য থেকে বিরত থাকার কথা আজও শুনিনি। দেশ বিদেশে অবস্থানরত ঐ( কটুক্তিকারী ) জাতি আপনাদের নিয়ে আজ গর্ববোধ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর টুইটারে একাধিক প্রশংসায় মত্ত রয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাবিশ্ব যেখানে টালমাটাল সেখানে আমাদের দেশের পুলিশ রাতে কিংবা দিনে আইসোলেশন সেন্টার কিংবা লক ডাউনকৃত ঘর পাহারা দিচ্ছে। এ দেশ তথা জাতিকে রক্ষায় সর্বক্ষনিক কোয়ারান্টাইনে থাকতেও আবার তাগিদ দিচ্ছেন। এমনকি অসহায় পরিবারের মাঝে নিজেদের মাসিক বেতনের টাকা দিয়ে বাজার সেরে ঘরে ঘরে মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এমনকি পুলিশি কার্যক্রমকে আরোও তরান্বিত করতে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে সরকারও পুলিশ বিভাগ।
একবার ভাবছেন, সেই পুলিশ নিজে সংক্রমিত হয়ে পরিবারের সদস্যদের জন্য মৃত্যুর ঝুকি বহন করছেন। তবুও এদেশের মানুষকে সচেতন করতে পারছেনা সেই পুলিশ। সরকার বাধ্য হয়ে নিরাপত্তা বাহিনি মোতায়েন করে। বিশেষভাবে পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা মাঠে ঘাটে কাজ করছেন। একবার ভাবুন আপনাদের সচেতন করতে পুলিশ সদস্যদের স্বেচ্ছায় করোনা সাগরে ঝাপ দিতে হচ্ছে। অথচ তাদের (পুলিশ)কে নিয়ে নানা সময় রাস্তায় কিংবা মাঠে ময়দানে কটুক্তি করতে দেখা গেছে।
একজন ক্ষুদ্রাক্ষার গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে সর্বদা পুলিশের দোষ খুঁজে বেড়াই। এখানেও হয়ত আমাদের কোন কোন সহকর্মী বলবেন এটা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য। না এটা বলার সুযোগ নাই। করোনা রোগ থেকে সচেতন করা পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে কি। আমি বলবো না। এটা নাগরিক হিসাবে নিজেকে নিরাপদ রাখা প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব। আর চিকিৎসকের দায়িত্ব চিকিৎসা করা। চিকিৎসক এবং রাজনীতিবিদদের প্রধান দায়িত্ব মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সবাইকে ছাপিয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশই প্রধান কাজটি করছেন। মানুষের বিপদের দিনে পাশে দাড়িয়ে ‘জনতার পুলিশ’ উপাধির যথার্থতা প্রমাণিত হচ্ছে।
তাই আসুন মানবতার ফেরিওয়ালা ( পুলিশ )কে নিয়ে সকল কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এড়িয়ে দেশ তথা জাতিকে রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। পাশাপাশি সরকারের বেঁধে দেওয়া আইনকে মান্য করে নিজ নিজ বাসায় নিরাপদে অবস্থান করি। আপনার আমার সচেতনতাই পারে একটি সুন্দর আগামী বিনির্মানের সহায়ক।।