বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি:: বিয়ানীবাজার পল্লীতে আপন বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামী তানভির আহমদ (১৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার তাকে সিলেটের আমলী আদালতে হাজির করা হলে সে হত্যাকান্ডের ঘটনার পুরো বর্ণণা দেয়।
আদালত সূত্র জানায়, কিভাবে-কি কারণে আপন বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তানভির, তার বর্ণণায় পারিবারিক অশান্তি এবং অনটনের বিশদ বিবরণ সে তুলে ধরে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সময় নিজের বাবা-মা’র মৃত্যুর পর ভবিষ্যতের চিন্তা এবং অভিভাবকত্বহীন সমাজ ব্যবস্থার চিত্র ফুটিয়ে তুলে খুনী তানভির বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, আদালতে ধৃত আসামী তানভির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় তাকে আর রিমান্ডে আনার প্রয়োজন নেই।উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামে বুধবার দিনগত রাত প্রায় ৩টার দিকে তানভির আহমদ তার আপন ভাই কামরুল ইসলাম (২৪) কে কুপিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সুনাম উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ানীবাজার থানায় তানভিরকে একমাত্র আসামী করে হত্যামামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান শেষে কিশোর অপরাধী ও শিবির ক্যাডার তানভিরকে কারাগারে পাঠানো হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নিহত এবং ঘাতকের পরিবারের সকল সদস্য জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাদের পিতা চান্দ আলী বহুআগে মারা গেছেন। নিহতরা চার ভাই।
সূত্র জানায়, অভাবের সংসারে বিদেশ যাওয়ার টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হত্যাকান্ডের এ ঘটনা ঘটে। বুধবার গভীর রাতে দু’ভাই বাড়ি ফিরলে তাদের মধ্যে এসব নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ছোট ভাই তানভির দা দিয়ে কোপ মারলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বড় ভাই কামরুল। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে পালিয়ে যায় তানভির। পরে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ।