আইন-বিচার জৈন্তাপুর

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার

জৈন্তাপুর সংবাদদাতা:: সিলেটের জৈন্তাপুরে  ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ।বাদীর অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিগত আড়াই বছর যাবৎ সহজ সরলমণা মেয়েটিকে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে অভিযুক্ত ধর্ষক এনায়েত হোসেন। জৈন্তাপুর উপজেলার ৩নং চারিকাটা ইউনিয়নের ভিত্রিখেল পশ্চিম গ্রামে অবস্থিত কুব্বাতুল ইসলাম দারুল হুদা কামালপাড়া কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষককের সাথে মাদ্রাসা ছাত্রীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইডে ভাইরাল হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ঐ মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম হাফিজ মাওলানা এনায়েত হুসাইন লাবিব (৩০)। তিনি ঐ মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক এবং একই উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার বাগেরখাল গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।জানাযায়, অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে অনেকদিন যাবৎ  অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করলে স্থানীয় শালিস মাধ্যমে বিচার করে তাদেরকে বিয়ের পিঁড়িতে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। গত শনিবার (১২ জুন) রাত ১০টা পর্যন্ত কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম ‘ধর্ষক’ শিক্ষককে নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে হাজির না হওয়ায় মেয়েটির পরিবার নিরুৎসাহিত হয়ে বাড়ি ফিরে যান। এরপর লোক মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, অভিযুক্ত ঐ  মাদ্রাসা শিক্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পাশাপাশি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অসুস্থতার অজুহাতে সালিশে না আসায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে জৈন্তাপুর মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ দস্তগীর আহমেদ’র নির্দেশনায় ধর্ষক এনায়েত হুসাইন লাবিবকে গ্রেফতার করার লক্ষ্যে মাঠে নামে পুলিশ। দির্ঘ চিরুনী অভিযানের পর মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় জৈন্তাপুর উপজেলার ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের বাঘেরখাল উত্তর দলইপাড়া থেকে জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই রাসেল আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্সদের সহযোগিতায় ধর্ষক এনায়েত হুসাইন লাবিবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দস্তগীর আহমেদ ডেইলি গোয়াইনঘাটকে জানান, ধর্ষিতার পিতার দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামী হুসাইন লাবিবকে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *