জাতীয়

মেয়েদের ফ্রি স্যানিটারি ন্যাপকিন দেবে সরকার

ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক::            দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এখন থেকে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, দেশের গ্রামাঞ্চলের অধিক মূল্য হওয়ার কারণে মা ও মেয়ে শিশুদের ন্যাপকিন ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। এতে তাদের শরীরে ক্যান্সারসহ নানাবিধ জটিল রোগ সৃষ্টি হয়। এ কারণে দেশের সর্বত্র এবছর থেকেই সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে মা-বোনদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে সপ্তাহব্যাপী ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

নিরাপদ মাতৃত্ব ও শিশুমৃত্যুর হার প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, এসডিজি অর্জনে ৩.৭.২ সূচকে কৈশোরকালীন মাতৃত্ব কমানোর ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ ১৪ বছর বা তার কম বয়সী কিশোরী মায়েদের মধ্যে গর্ভজনিত জটিলতার কারণে মৃত্যুঝুঁকি পাঁচগুণ বেশি। ২০ বছরের বেশি বয়সী মায়েদের তুলনায় ১৫-১৮ বছর বয়সী মায়েদের মৃত্যুহার দ্বিগুণের বেশি। এক্ষেত্রে অধিকাংশ মায়েদের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা থাকে। এ কারণে সারাদেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা ডেলিভারি সিস্টেম চালু করে দেওয়া হবে।

‘বাল্যবিয়ে, কৈশোরকালীন মাতৃত্ব, কিশোরী মায়ের গর্ভে শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি, মৃত সন্তান প্রসব, অপরিণত জন্ম, কম জন্ম ওজনের শিশু, প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে কিশোরী মায়েরা ঝুঁকির মধ্যে থাকে। ১৫-১৯ বছরের বিবাহিত কিশোরীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার অপূরণীয় চাহিদার হার ১৭ শতাংশ। কাজেই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারে সব সক্ষম দম্পতিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিবাহিত কিশোরীদের সঠিকভাবে পদ্ধতির ব্যবহার ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবসেবার বিষয়ে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন, যাতে কৈশোরকালীন মাতৃত্ব রোধ করা যায়।

কৈশোরকালীন মাতৃত্বের বর্তমান হার প্রতিলাখে ১১৩ যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ এ (প্রতি লাখে) নামিয়ে আনতে হবে বলে মন্ত্রী তার ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *