ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পাঁচ সেউতি বাজারের ইট সলিং মিলঘাটের বালু ব্যবসায়ীদের উপর ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলার প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ নভেম্বর (শনিবার) বিকাল ৩টায় স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে পাঁচ সেউতি বাজারে উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলীরগাওঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার ওলি উল্লাহর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগ নেত গোলাম করিম শামীমের পরিচালনায় ্ওসময় বক্তব্য রাখেন, আলীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক আহমদ, আলীরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী ফখরুল ইসলাম, সতের পরগণার বিশিষ্ট মুরব্বি হাজী মখলিছুর রহমান, গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনজুর আহমদ, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সোহেল আহমদ, ইউপি সদস্য শাহিন আহমদ, ট্রাক শ্রমিক বাঘের সড়ক শাখার সভাপতি শরফ উদ্দিন, পাঁচ সেউতি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিলাল উদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তার বলেন, সিলেট তামাবিল মহাসড়কের দরবস্থ এলাকায় অবৈধ রয়েলিটি আদায় না করতে পারায় ট্রাক ভর্তি বালু আনলোড করে নিচ্ছেন ইজারাদারগন। স্থানীয় জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্থের শাহিন আহমদ সারী-নদী ও ফেরিঘাট বড়গাং নদী ইজারা নেন। কিন্তু সারী-নদীর একাংশ (চেঙ্গেরখাল) এলাকা গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত এবং ঐ নদীর অংশ থেকে উত্তোলনকৃত বালু ড্রাম্পিং করা হয় গোয়াইনঘাট উপজেলার পাঁচসেউতি ঘাট ও বানই নয়াখেল ঘাটে। ইজারা প্রদানের কাগজে গোয়াইনঘাট বা চেঙ্গেরখাল নাম কোথাও উল্লেখ না থাকায় গোয়াইনঘাটের বালু ব্যবসায়ীরা ইজারা দিতে অপারগতা দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইজারাদার শাহিনসহ অন্যান্য ইজারাদাররা গোয়াইনঘাট থেকে আসা বালু বোঝায় ট্রাক তামাবিল মহা সড়কে আটক করে জোর পুর্বক অবৈধ রয়েলিটি আদায় করার চেষ্টা করেন এবং চালকদের মারধর করেন। এতে প্রায় সময় তামাবিল মহাসড়ক অবরোদ্ধ থাকে। তাই দু’পাশে মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা, সিএনজি অটোরিকশা এবং পর্যটকবাহী কয়েক সহস্রকধিক যানবাহন আটকা পড়ে। আবার প্রসাশনের সহায়তায় চালকরা অবরোধ তুলে নেন। গত ২৩নভেম্বর বিকেলে গোয়াইনঘাট থেকে আসা একটি বালু বোঝাই ট্রাক জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্থ এলাকায় পৌঁছামাত্র ইজারাদাররা গতিরোধ করে চালক ও হেলপারের উপর হামলা করে এবং জোর পুর্বক ট্রাক থেকে সকল বালু আনলোড করে।
এঘটনায় ট্রাকের চালক আহত জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে ইজারাদার শাহিন আহমদকে প্রধান আসামী করে আরও ৭/৮ জনের নাম উল্লেখ করে জৈন্তাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহসিন আলী উল্লেখিত মামলার প্রধান আসামি জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীখেল গ্রামের হাজী মনির উদ্দিনের ছেলে ইজারাদার শাহীন আহমদ কর্তৃক ব্যবসায়ীদের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগটিকে জৈন্তাপুর মডেল থানায় রের্কড করেন। যাহার নং ০৯ তারিখ ২৩(১১)২০২০ইং। শাহীন আহমদের দায়েরকৃত মিথ্যা ও যড়যন্ত্র মূলক মামলায় আসামি করা হয়েছে বিশিষ্ট ব্যবসায়ীখলিলুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আরো ৯জন ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত রাখা হয়েছে আরো ১০/১২ জনের নাম। শাহীন আহমদের মামলায় খলিলুর রহমান ছাড়াও আরো যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন, ফখরুল ইসলাম আহসান আল জুবায়ের, জুবায়ের আহমদ, সুলতান আহমদ, রেজওয়ান আহমদ, শাহিন আহমদ, হেলাল আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, বিলাল আহমদ। বক্তারা আরোও বলেন, গোয়াইনঘাটের মানুষ শান্তি প্রিয়, শান্তি প্রিয় মানুষদের উশৃংখল করে তুললে পরিনাম শুভ হবেনা। তাই অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধভাবে রয়েলিটি আদায় বন্ধ না করলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহন করা হবে।