গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ- গোয়াইনঘাট উপজেলার ১ নং রুস্তম পুর ইউনিয়নের হাদারপার গ্রামের বাসিন্দা সমাজসেবী ও প্রবীণ মুরব্বি মনির উদ্দিনকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিভ্রান্তি ও উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি হাদারপারের বাসিন্দা সমাজসেবী মনির উদ্দিনের নজরে আসলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে সচেতন মহলকে উক্ত বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানান।
এবিষয়ে মনির উদ্দিন জানান, গত ২৩ অক্টোবর শুক্রবার রাত ৯ টায় স্থানীয় হাদার পার বাজারের সোহাগ ফার্মেসির সত্ত্বাধিকারী সামছু উদ্দিন, ময়নুল ফার্মেসীর পরিচালক হাবিবুর রহমান, এছাড়াও এডভোকেট মোবারক হোসেনের সম্মুখে আমার নাতি উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের লাকী গ্রামের বাসিন্দা সাদিকের সাথে রংঢংয়ে অনেক্ক্ষণ তর্ক-বিতর্ক হয়। এসময় হঠাৎ সাদিকের ফেইসবুকে গোয়াইনঘাটের তথা তোয়াকুল ইউনিয়নের লাকি গ্রামের কৃতি সন্তান তথা উত্তর সিলেটের সুনাম ধন্য অালেম, হরিপুর বাজার মাদ্রাসার শিক্ষা -সচিব ও মুহাদ্দিস,হরিপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব,জামেয়া ইসলামিয়া তোয়াকুল মাদ্রাসার নির্বাহী মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা নজরুল ইসলাম সাহেব, (দেওবন্দি) হুজুরের ছবি চলে আসে। উনার সম্পর্কে স্ট্যাটাস ও পদ-পদবী দেখে আমি বলি এত দায়িত্ব কি ভাবে তিনি পালন করেন। তখন সাদিক বলেন, তিনি আরো ৭/৮টি মসজিদের খতিব। সাদিকের কথার উত্তরে আমি বলি একজন সম্মাানী আলেমেদীনকে নিয়ে ফাজলামো করা তোমার ঠিক হচ্ছেনা।
কারণ তিনি এক সাথে বিভিন্ন মাদরাসার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কথা সঠিক কিন্তু এক সাথে ৭/৮টি মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করবেন কি ভাবে। হযরত মাওলানা নজরুল ইসলাম (দেওবন্দি) সাহেবের সম্পর্কে উক্ত বিষয় ছাড়া অন্য কোন মন্তব্য করা হয়নি। মনির উদ্দিন ও সাদিকের তর্ক-বিতর্ক চলাকালীন সময়ে উপস্থিত স্থানীয় হাদার পার বাজারের সোহাগ ফার্মেসির সত্ত্বাধিকারী সামছু উদ্দিন, ময়নুল ফার্মেসীর পরিচালক হাবিবুর রহমান, এছাড়াও এডভোকেট মোবারক হোসেন এ বিষয়ে তারা বলেন, হযরত মাওলানা নজরুল ইসলাম( দেওবন্দি)সম্পর্কে মনির উদ্দিন বলেন, স্ট্যাটাস ও পদ-পদবী দেখে তিনি এত দায়িত্ব কি ভাবে পালন করেন। তখন সাদিক বলেন, তিনি আরো ৭/৮টি মসজিদের খতিব। সাদিকের কথার উত্তরে মনির উদ্দিন বলেন, একজন সম্মাানী আলেমেদীনকে নিয়ে ফাজলামো করা তোমার ঠিক হচ্ছেনা। কারণ তিনি এক সাথে বিভিন্ন মাদরাসার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কথা সঠিক কিন্তু এক সাথে ৭/৮টি মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করবেন কি ভাবে। হযরত মাওলানা নজরুল ইসলাম (দেওবন্দি) সাহেবের সম্পর্কে উক্ত বিষয় ছাড়া অন্য কোন মন্তব্য মনির করেননি। মনির উদ্দিন জানান, সাদিকের সাথে তার নানা হিসেবে রংঢংয়ের একপর্যায়ে আমরা উভয়ই উত্তেজিত হয়ে পড়ি। উপস্থিত সকলের সহযোগিতায় আমাদের মধ্যে বড়ধরনের কোন বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।
উপস্থিত সকলের সহযোগিতায় আমরা যার যার বাড়ি চলে যাই। গত ২/৩ দিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সাদিক ও তার নিকট আত্মীয় স্বজনরা আমাকে ও হযরত মাওলানা নজরুল ইসলাম দেওবন্দিকে নিয়ে বিভ্রান্তি ও উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে চলেছেন। যে বিষয়টি আলিম সমাজের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক অবনতির অপপ্রয়াস মাত্র। সুতরাং উক্ত বিষয়ে সচেতন মহলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।