শিক্ষাঙ্গন

সাফল্যেতার হাতছানি নলজুরি ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসা

ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্কঃ- স্নিগ্ধতার ছোয়াঁ আর আধুনিক শিক্ষার হাতছানি নিয়ে ৩৮বছর আগে প্রতিষ্টিত হয়েছিল নলজুরি ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসা। গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্বজাফলং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নলজুরি নামক স্থানে দ্বীনি শিক্ষার এক আলোক বর্তীকা হয়ে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে আরবি, উর্দু এবং বাংলার পাশাপাশি ইংরেজী শিক্ষা যেন এখানকার অন্যান্যে পুস্থকের ন্যায়।
সিলেট জেলা পরিষদের অর্ন্তভূক্ত নলজুরি ডাক বাংলার প্রবেশ পথের বাম পাশে এ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্টানটি অবস্থিত। ২৬ডিসিমেল জায়গার উপর ৫ম তলা ভবন নিয়ে ১৯৮১সালে মানসম্মত শিক্ষা ব্যাবস্থার কর্নদ্বার হয়ে যাত্রা করে এ প্রতিষ্টানটি। স্থানীয় এলাকাবাসীদের সার্বিক সহযোগিতায় এখানে ৮টি ক্লাস রুমে বর্তমানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১২০জন। অপর দিকে এসকল শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ১২জন। এছাড়াও রয়েছে এখানে আবাসিক ব্যাবস্থা যেখানে অসহায় দারিদ্র শিশুরা প্রতিনিয়ত শিক্ষা অর্জনে রয়েছে মগ্ন। সপ্তাহের সাতটি দিনই এখানে মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠদান অব্যাহত রয়েছে।


শনিবার সরেজমিনে, নলজুরি ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়–য়া সকল ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষনীয়। কিন্তু কোন ক্লাসেই নেই কোন ডেক্স কিংবা ব্রেঞ্চ, ফ্লোরেই বসে শিক্ষা অর্জনে ব্যাস্থ সকল শিক্ষার্থী। সেই সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা অত্যান্ত চমৎকার যাহা অবিস্বাশ্য। চমৎকার এমন লেখনি দেখে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাও বিমোহিত হয়ে যান। ইতিপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেইসবুক, টুইটারেও ভাইরাল হয়েছে এ প্রতিষ্টানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের হাতের লেখনি। মাদ্রাসা শিক্ষায় এমন অবাক করা লিখনি দেখলে শহরের কোন নামী দামি শিক্ষা প্রতিষ্টানকেও হার মানায়। আর এসকল শিক্ষার্থীদের পেছনে নিরলসভাবে আধুনিক শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন প্রতিষ্টানের সকল শিক্ষকবৃন্দ।
এ বিষয়ে অত্র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস জানান, সময় উপযোগী একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু রয়েছে এ প্রতিষ্টানে। মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা শুধু আরবি, উর্দু এবং বাংলা ভাষার পাশাপাশি যাহাতে ইংরেজি শিক্ষায় নিজেকে মেলে ধরতে পারে সে জন্য তাদেরকে ইংরেজি ভাষা শিখানো হয়। এছাড়াও এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আগামী জানুয়ারী থেকে এখানে কম্পিউটার ল্যাব এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাস চালু করা হবে। ইতি পূর্বে নলজুরি ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসায় সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাও ঘুরে গেছেন বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা বলেন, সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর সহযোগিতা থাকলে দির্ঘ দিনের ঐতিহ্যকে ধারণ করে দ্বীনি শিক্ষা নিয়ে এ প্রতিষ্টানটি আরোও এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশা আমাদের সকলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *