Uncategorized

সারী বালু মহালে সরকারী রয়েলিটি আদায় নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ : চরম ভোগান্তি

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি: জৈন্তাপুর উপজেলার সারীঘাট দক্ষিণপাড় এলাকায় সিলেট তামাবিল সড়কে বাশঁকল বসিয়ে সারী ও বড়গাং বালু মহালের সরকারী রয়েলটি আদায় করা নিয়ে ইজারাদার ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ও দাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার এক শিশু সহ অন্তত কয়েকজন লোক আহত হয়েছেন বলে জানাগেছে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে বাড়িতে রয়েছেন।

৮আগস্ট শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সারীঘাট দক্ষিণপাড় এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে সরকরী রয়েলটি রাস্তার উপর থেকে আদায় কাজে ইজারাদার কে বাধাঁ দেন ট্রাক পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় রাস্তার উভয় পাশে রোগী বহনকারী এ্যাম্বেুলেন্স সহ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাহিদা পারভীন ,সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারুক আহমেদ, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মহসিন আলী ঘটনাস্থালে ছুটে যান। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ-কে নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন।

জানাগেছে, ১৪২৭ বাংলা সনের জন্য জেলা প্রশাসক সিলেট থেকে সারী ও বড়গাং বালু মহাল ইজারা প্রদান করা হয়। দু‘টি মহালের দখল সমজিয়ে দেয়ার পর ইজারাদার পক্ষ ৮ আগস্ট শনিবার থেকে সারীঘাট দক্ষিণপাড় রনীফৌদ এলাকায় সিলেট তামাবিল মহাসড়কের উপর বাশঁকল বসিয়ে সরকারী রয়েলটি আদায় করতে যান। এ সময় ট্রাক পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তার উপর বাশঁকল বসিয়ে সরকারী রয়েলটি প্রদান করতে অপারগতা জানান। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও দাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাহিদা পারভীন জানান, সরকারী ভাবে সারী ও বড়গাং বালু মহাল ইজারা দেয়া হয়েছে। সরকারী রয়েলটি আদায় করা নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়েছিল। ঘটনার খবর পেয়ে আমি সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি। রোববার সকালে বিষয়টি সমাধান করতে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক বৈঠক আহবন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার জানান, সরকারী রাজস্ব আদায় করার পক্ষে আমাদের অবস্থান। তবে বালু উত্তোলনের উৎসাহ স্থান থেকে রয়েলটি আদায় করা হলে আমাদের কোন আপত্তি নেই।

ইজারাদারের পক্ষে নূরুল আমিন বলেন, আমরা ১৪২৭ বাংলা সনের জন্য জেলা প্রশাসক থেকে ১ কোটি ২০লাখ টাকা রেন্ট জমা দিয়ে ইজারা গ্রহন করেছি। সরকারী রয়েলটি আদায় করতে যাওয়ার পর পরিবহন শ্রমিক নেতৃবন্দ নানা ভাবে আমাদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বিষয়টি নিয়ে রোববার উপজেলা প্রশাসন উভয় পক্ষের সাথে এক বৈঠক আহবান করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *