ডেইলি গোয়াইনঘাট ডেস্ক :: দির্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে উত্তর সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি।এদিকে জীবিকা নির্বাহ নিয়ে বিপাকে আছেন জাফলং, ভোলাগঞ্জ, কোম্পানিগঞ্জসহ আশপাশের হাজার হাজার পাথর শ্রমিক।
৭২ঘন্টার আল্টিমেটাম,স্মারকলিপি ও প্রতিবাদসভা করেও খুলেনি পাথর কোয়ারি। দুবেলা হাড়িতেও জুঠছে না খাদ্যের সামান্যটুকু ভাত। অপর দিকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে বিপাকে আছেন এখানকার ক্রাশার মালিক, ব্যাবসায়ী, শ্রমিকেরা।
সম্প্রতি এক প্রতিবাদ সভায় অচল পাথর কোয়ারি সচল না হলে ধর্মঘট ডাকার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সিলেট জেলা ট্রাক,কভার্ড ভ্যান শ্রমিক সভাপতি আবু সরকার। তারই জেরে ৭২ঘন্টার আল্টিমেটামের অংশ হিসেবে আজ শনিবার ভোঁর ৬টা থেকেই সিলেটে পালিত হলো পূর্বঘোষিত ধর্মঘট কর্মসূচি। ফলে আজ সকাল ৬টা থেকেই সিলেটে জেলায় প্রবেশ করেনি সবজিসহ পণ্যবাহী কোন ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান। ধর্মঘটকে স্বাগত জানিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন শ্রমিকেরাও।
তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অচল পাথর কোয়ারি সচল না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘট ও কর্মবিরতি পালন করা হবে। ফলে আজ সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এশিয়ান হাইওয়ে রোড সিলেট -তামাবিল ও ভোলাগঞ্জ-কোম্পানিগঞ্জ রোডে কোন প্রকার ট্রাক লোড আনলোড হয় নি। পাথর কোয়ারি সম্পর্কে জানতে চাইলে সম্প্রতি এক সভায় গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেছেন উত্তর সিলেটের লাখ লাখ বেকার শ্রমিকদের পাথরের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারী গুলো খোলা রাখতে প্রশাসনের প্রতি জোরালো অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের নির্দেশনায় গোয়াইনঘাটের নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুস সাকিব যোগদানের পর পরই উপজেলার এ দুটি পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রশাসনের এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞার ফলে জাফলং ও বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারি এলাকা থেকে বালু-পাথর উত্তোলনসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে এ দুটি পাথর কোয়ারি-সংশ্নিষ্ট লক্ষাধিক শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।