জৈষ্ঠ প্রতিবেদক :: ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ২০১৮ – ২০১৯ অর্থ বছরের আওতায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় ১ম পর্যায়ে ৭৮ টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৪০ কিলোমিটার মাটির সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ৪০ কিলোমিটার মাটির সড়ক নির্মাণে কাজ করছেন ৪ হাজার ২৩ জন অতিদরিদ্র দিনমজুর শ্রমিক। সরকার কর্মক্ষম দূস্থ পরিবার গুলোকে কর্মহীন মৌসুমে স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সুরক্ষা করার জন্য অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) নামে একটি প্রকল্প দেশে পিছিয়ে পড়া উপজেলা গুলিতে বাস্তবায়ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়াইনঘাট উপজেলায় কর্মহীন মৌসুমে ৪ হাজার ২৩ টি অতিদরিদ্র দিনমজুর পরিবার স্বল্পমেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। পাশাপাশি নতুন ভাবে নির্মিত হচছে প্রায় ৪০ কিলোমিটার মাটির সড়ক। ২০১৮ – ২০১৯ অর্থ বছরের ১ম পর্যায়ে ৪ হাজার ২৩ জন শ্রমিকের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ৭৮ টি প্রকল্প। প্রকল্পগুলোর মধ্যে উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নে ৯টি প্রকল্পে কাজ করছেন ৫৭০ জন শ্রমিক। পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে ৯ টি প্রকল্পে কাজ করছেন ৫৫৬ জন শ্রমিক।, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে ৯ টি প্রকল্পে কাজ করছেন ৫৫৮ জন শ্রমিক।, লেঙ্গুড়া ইউনিয়নে ৯টি প্রকল্পে কাজ করছেন ২৫৪ জন শ্রমিক। আলীরগাওঁ ইউনিয়নে ৯ টি প্রকল্পে কাজ করছেন ৬৮৯ জন শ্রমিক। ফতেহপুর ইউনিয়নে ৮ টি প্রকল্পে কাজ করছেন ৩১০ জন শ্রমিক। নন্দীরগাওঁ ইউনিয়নে ৮ টি প্রকল্পে ৩৫১ জন শ্রমিক। তোয়াকুল ইউনিয়নে ৯ টি প্রকল্পে কাজ করছেন ৩৮৪ জন শ্রমিক। এছাড়াও ডৌবাড়ী ইউনিয়নে ৮টি প্রকল্পে কাজ করছেন ৩৫১ জন শ্রমিক। শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের খলামাধব – পীরের বাজার নবনির্মিত মাটির সড়ক পরিদর্শন করে দেখা যায় সড়কটির উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট,প্রস্থ ১৭/১৮ ফুট। অত্যন্ত সুন্দর ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সড়কটিকে। দূর থেকে ওই সড়কটিকে পাকা মনে করেন অনেকেই। এভাবে করা হয়েছে অধিকাংশ মাটির সড়ক। এব্যাপারে রুস্তুমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও রুস্তুমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কামাল হোসেন বলেন আমাদের ইউনিয়নে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির গ্রহন করা প্রতিটি প্রকল্প যথাযথ ভাবে সম্পাদন করা হয়। রুস্তুমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, জনগণ তাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছেন। আমরা তাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিক। যথাযথ নিয়মে প্রতিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে জনগণের ঋন অন্তত কিছুটা কমবে।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ বলেন উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ৭৮ টি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। ৪ হাজার ২৩ জন শ্রমিক উক্ত প্রকল্পে মাটির কাজ করে প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। ইতিমধ্যে প্রকল্প গুলোর সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পের কাজ তদারকি করছেন দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার। এছাড়াও পিআইও অফিসের সহকারী প্রকৌশলী,উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগন। অপর দিকে অধিকাংশ প্রকল্প পরিদর্শন করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিব। ফলে যথাযথ ভাবে প্রকল্পগুলোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিব বলেন, এ জনপদের জনপ্রতিনিধিরা প্রতিটি কাজ যথাযথ ভাবে বাস্তবায়নে অত্যন্ত আন্তরিক। জনগণের সুবিধা, অসুবিধা ও চাহিদা বুঝার মতো ক্ষমতা তাদের রয়েছে। ফলে উক্ত প্রকল্প গুলো যথাযথ ভাবে সম্পাদন করা সহজ হচ্ছে। এছাড়া উপজেলার ৭৮ টি প্রকল্পের পার্শ্ববর্তী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও প্রকল্প বাস্তবায়নে ভুলত্রুটি হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করে থাকেন। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলায় যোগদানের বেশিদিন হয়নি। তারপরেও অধিকাংশ সড়ক পরিদর্শন করেছেন বলে জানান।